৭ দফা দাবিতে তালতলীতে নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৭ দফা দাবিতে তালতলীতে নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৭ দফা দাবি না মানায় বরগুনার তালতলীতে নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পাওয়ার চায়নায় কর্মরত ৩ হাজারের অধিক শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। 

তালতলী নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনা কমিটি বাংলাদেশ লেবার কংগ্রেস (বিএলসি) তালতলী শাখার ব্যানারে আজ সোমবার সকাল ৮টায় উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের অংকুরজানপাড়া এলাকার নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ফটকে থেকে শুরু করে প্রথম ফটক পর্যন্ত শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের দাবী মেনে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে গত (২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) নির্মাণাধীন তাপবিদ্যু কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকরা ৩ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে পাওয়ার চায়না কোম্পানির কাছে ৭ দফা দাবি জানান। দাবীগুলো হলো, শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ডিউটি, ৮ ঘন্টা পরে অতিরিক্ত সময় ওভারটাইমের কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি দিতে হবে, বিনা কারনে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যাবে না, প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ছুটি দিতে হবে, কাজ শেষে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে এবং নামাজের স্থান ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা। ওই ৭ দফাগুলো ৩ দিনের মধ্যে মেনে না নিলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখিতভাবে কোম্পানিটির কাছে জানায় কর্মরত শ্রমিকরা। কোম্পানী ওই দাবীগুলো মেনে না নেওয়ায় আজ নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফটকে কর্মরত শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন।

বাংলাদেশ লেবার কংগ্রেস (বিএলসি) তালতলী শাখার সভাপতি মোঃ জাফর মিয়া মুঠোফোনে বলেন, গত ৩ দিন অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ আমাদের ন্যয্য দাবিগুলো না মানায় কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকরা। 

নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্টিকোল কোম্পানির উৎপাদন ব্যাবস্থাপক মিঃ হাও দায়সারা বলেন, যদি পাওয়ার চায়না কোম্পানি শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয় তাহলে আমরাও তাদের দাবি মেনে নিবো। 

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রনেই আছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।